পোস্টগুলি

সমপ্রেম !! সে তো খোলা আকাশ, নিষিদ্ধ কোনওদিন ছিল কি?

ছবি
Love has no gender - compassion has no religion - character has no race                                       আপাতদৃষ্টিতে মনে হতেই পারে সমাজমান্য যে কোনও নিয়ম প্রজন্মভর বয়ে নিয়েই যেতে হবে।সেই সংস্কারেই সুপ্রিম আইনে ছাড়পত্র মিলে যাওয়া সমকামকে আমরা কি ছেড়ে কথা বলছি ? হয়ত না।   মন-মানসিকতায় অপার্থিব রামধনু রং লাগছে কই ! ভুলেই যাচ্ছি সমকাম আসলে সমপ্রেমও বটে। কাম- যৌনতার টক –স্বাদ নিচ্ছি, প্রেমের মিষ্টত্বটুকু বিস্মৃত হচ্ছে ! সাফোঁকে মনে পড়ে ? গ্রীসের ‘লেসবস’ দ্বীপের সেই নারী, যিনি চেয়েছিলেন পৃথিবী হবে কেবল ঈভের। ঈভেরাই একলা খাবে জ্ঞান বৃক্ষের নিষিদ্ধ আপেল। নারীতে নারীতেই গড়ে উঠবে প্রেমের ভুবন। অনেকেই মনে করেন এই ‘লেসবস’ থেকেই লেসবি এসেছে। আসলেই, সমকামের ঊর্ধ্বে আছে সমপ্রেম। যীশুর ‘লাস্ট সাপার ’ । ১৩ জন শিষ্য নিয়ে তিনি বসেছেন শেষ ভোজে- শিষ্যা নেই তো একজনও ! মুখে তাঁর মানবপ্রেমের বা ণী । এই মানবপ্রেম নারীর সঙ্গে নারীর, পুরুষের সঙ্গে পুরুষেরও বটে।অবিবাহিত যীশু যে  প্রেমের বা ণী ছড়িয়েছেন বিশ্বজুড়ে তা ‘ সমপ্রেম’।এই প্রেম যৌন খিদের নয়। স্রেফ ভালোবাসার। মানুষ

এক কাপ কফিতে আমি শুধুই আমাকে চাই...

ছবি
These 5 Cafes In Kolkata Never Shut Doors   গৌতমী সেনগুপ্ত কাপ ভর্তি ধোঁয়া ওঠা কফি মানেই ‘মি টাইম’। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় কফি তো থাকেই। তবে, কফি যেন অজান্তেই আমার, আপনার একান্ত বন্ধু হয়ে ওঠে। অফিসের গতানুগতিকতার  মাঝে বা ক্লান্তিকর দিনের শেষে, মনটা যেন হু হু করে এক কাপ কফির জন্য।অবচেতন মনের কোথাও বাজতে থাকে, মহিনের ঘোড়াগুলির সেই কালজয়ী গান... "ক্যাফে ক্যাফে আমার প্রিয়া ক্যাফে" কালো চাদর ঢাকা আকাশের তলায়,  নিয়ন আলো মাখা শহরের রাস্তায় কফির খোঁজে বেরিয়ে পড়তে পারেন। কলকাতা শহরজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ছিমছাম ক্যাফের সংখ্যাও কম নয়। এমনকী মাঝরাতে  কফি কফি মন করলেও, এই শহর আপনাকে নিরাশ করবে না। রাতের কলকাতায় ঝকঝকে আলো জ্বালিয়ে আপনারই অপেক্ষায় থাকে বেশ কয়েকটি ক্যাফে। সকাল থেকে রাত পেরিয়ে আবার সকাল, এই ক্যাফেগুলি খোলা থাকে ২৪ টা ঘণ্টা.. দ্য ওয়াটার সাইড ক্যাফে.. হায়াত রিজেন্সির অন্দরে ঝকঝকে এই ক্যাফে আপনার মন কেড়ে নেবে। ক্যাফে খোলা থাকে ২৪ ঘণ্টা। মাঝ রাত বা ভোর যখন খুশি চলে যান, ধূমায়িত কফির কাপে চুমুক দিয়ে ফেলুন নিশ্চিন্তে। তবে বলে রাখা ভালো, ক্যাফেটিকে পকেট ফ্রেন্ডলি

নষ্ট হচ্ছে এলিফেন্টা কেভ, হারাচ্ছে ইতিহাস

ছবি
the precious elephanta caves is on verge of extinction and needs immediate attention গৌতমী সেনগুপ্ত মাঝ সমুদ্রে ছোট্ট ভেসেল, ঢেউয়ের তালে দুলতে দুলতে যাচ্ছে বেশ। মনের ভিতর এক অজানা উত্তেজনা,  এক দিনের মুম্বই সফরে সময় বার করে এলিফেন্টা কেভের পথে আমি। কম পাওয়া নাকি। কিন্তু পৌঁছে হাড়ে হাড়ে টের পেলাম ইতিহাস আসলে  ধ্বংসেরই অপেক্ষায়। প্রধানত দুটি, এছাড়াও ছোট-বড় আরও অনেক গুহার স্থাপত্য নিয়ে দাঁড়িয়ে খ্রীষ্টপূ্র্ব পাঁচ- ছয় শতাব্দীর প্রাচীণ এলিফেন্টা কেভ। যার বেশিরভাগটাই এখন ভেঙে পড়েছে।  অস্তিত্বের লড়াইয়ে  ধুকছে। হেরিটেজ ঘোষিত এলিফেন্টা আজ  আরকিওলজিক্যাল সার্ভে  অফ ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানেও দৈন দশায়। খামতিটা তাহলে ঠিক কোথায়, খোঁজ করতেই বেশ তোতলাতে শুরু করলেন সংরক্ষণের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। উঁচু-নীচু পাথুরে পথ  পেরিয়ে যখন ইতিহাসকে অসম্মানিত হতে দেখি, খারাপ লাগার পরিধিটা হঠাৎ বেড়ে যায় । এলিফেন্টা কেভের মূল আকর্ষণ শিবের তিন মুখ। যার একটা পাশ ক্ষয়ে গিয়েছে। স্থাপত্যটিকে ধরে রাখার পিলারগুলিও ক্রমশ ভাঙছে। উপরে তাকালে দেখা যাবে  গুহার ক্ষত-বিক্ষত  সিলিং। কেন এই ভগ্ন দশা.. নিরাপত্তায় থা